ভুতের গল্প 1

Sunday 19 October 2014

আপনারে আমি ফাঁসিতে ঝোলামু

কোর্ট এ একটা কেস চলতেছে। সাক্ষী এর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছেন এক দাদীমা। তার বয়স অনেক, সাদা চুল, মুখে ফলসে দাঁত, হাই পাওয়ার চশমা। যাই হোক, বাদী পক্ষের উকিল এগিয়ে এলেন দাদিমার দিকে।
উকিলঃ আচ্ছা দাদীমা, আপনি আমারে চেনেন?
দাদীমাঃ চিনি না মানে? বিলক্ষণ চিনি। তোমারে তো আমি লেংটা হইয়া ঘুরে বেরাইতে দেখছি। কিন্তু মোতালেব, তুমি তো জীবনে কিছু করবার পারলা না। তুমি মিছা কথা কও। তোমার সুন্দরী বউ থাকতে অন্য মাইয়ার পিছনে ঘুর ঘুর কর। লোকেরে উল্টা বুঝাও, সবাইরে ঠকাও, আর পিছনে লোকের বদনাম কর । তুমি মনে কর তুমি নিজেরে মনে কর রাঘব বোয়াল ! আসলে তুমি একটা পুঁটি মাছও না ! আমি তোমারে অবশ্যই চিনি
উকিল এই শুইন্যা পুরা ঘাবড়ায় গেলেন। গোটা কোর্টের লোকজনও
একদম হা হইয়া গেছে। কী করবে বুঝতে না পাইরা এইবার উকিল আসামি পক্ষের উকিলরে দেখায় বললেন,
উকিলঃ দাদীমা, আপনি কী ওরে চেনেন?
দাদীমাঃ আরে, আসলাম না? ওরে কেন চিনুম না। আমার যখন বিয়া হয় তখন ওই বেটা দুধের শিশু। ছোটবেলায় তো বেশ ভালই আছিল। বড় হইয়া হইল একটা অলস, অকর্মার ধারী। আবার শুনি রোজ রোজ মদ খাওয়া শুরু করছে। কারও সাথে ঠিকঠাক কথা কইবার পারে না। এই জেলার সবথিকা বাজে উকিল হইল ওই আসলাম।
ওঃ বলতে ভুইলা গেছিলাম, এ আবার তিনটা পরকীয়া প্রেম করছে। তার একটা তোমার বউ এর লগে।
এই কথা শুইন্যা আসলাম উকিল কোর্টের মধ্যে অজ্ঞান হয়া গেলেন। এইবার বিচারক বললেন,
বিচারকঃ “মোতালেব মিয়াঁ, আপনি সীট এ যায়া বসেন। আর যদি মুর্খের মত প্রশ্ন করছেন যে উনি আমারে চেনে কিনা, আপনারে আমি ফাঁসিতে ঝোলামু।